মুখের ব্রণ দূর করতে ভেষজ চিকিৎসা
মানুষের শরীরে
ব্যাকটেরিয়া দ্বারা
সৃষ্ট রোগের মধ্যে
ব্রণ অন্যতম। এটা
মূলত ত্বকের তৈলাক্ত গ্রন্থি থেকে
অতিরিক্ত তেল
নিঃসরণ করে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়
যেটা পরবর্তীতে লোমকূপ
কে আক্রান্ত করে
মুখে ব্রণ সৃষ্টি
করে। এটি একটি
সংক্রামক রোগ।
খুব বেশি দুশ্চিন্তা করলে, রাতে না
ঘুমালে, একই সময়
বিভিন্ন ধরনের
প্রসাধনী ব্যবহারে মুখমণ্ডলে ফুসকুড়ির মত উঠে এবং
ব্রণ সৃষ্টি করে।
তাছাড়া ব্রণ
একটি বয়সের রোগ
ও বটে। সাবালকত্ব প্রাপ্তির পর
থেকেই এটা সবার
মুখে কমবেশি পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু ভয়ের
কোন কারণ নেই।
ভেষজ চিকিৎসার মাধ্যমে ব্রণ পুরোপুরি আরোগ্য
করা সম্ভব। নিচে
কয়েকটি ভেষজ
উপাদান সম্বন্ধে আলোচনা
করা হলঃ
১. চা
গাছের তেল
এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আপনার মুখের সংকুচিত জায়গার ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে। এটা এমনই একটি চমৎকার উপাদান যা আপনার ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়াও এটা আপনার লোমকূপ সংকুচিত রাখার জন্য সংকোচক এর ভুমিকা পালন করবে। এটা আপনি পুরো মুখমণ্ডলেও লাগাতে পারেন অথবা শুধুমাত্র ব্রণের উপরে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আপনার মুখের সংকুচিত জায়গার ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে। এটা এমনই একটি চমৎকার উপাদান যা আপনার ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়াও এটা আপনার লোমকূপ সংকুচিত রাখার জন্য সংকোচক এর ভুমিকা পালন করবে। এটা আপনি পুরো মুখমণ্ডলেও লাগাতে পারেন অথবা শুধুমাত্র ব্রণের উপরে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
২. গ্রিন
টি
গ্রিন টি বা সবুজ চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা শরীরের ভেতরের সামান্য অসুস্থতা নিরাময় করে। এটা ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করে ব্রণ দূর করাও সম্ভব।
গ্রিন টি বা সবুজ চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা শরীরের ভেতরের সামান্য অসুস্থতা নিরাময় করে। এটা ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করে ব্রণ দূর করাও সম্ভব।
৩. হানিসাকল ফুল
এটা একটি ঔষধি ফুল। এই ফুল দ্বারা তৈরি চা পান করলে ব্রণ দূর হয় এবং গায়ের রং ফর্সা হয়।
এটা একটি ঔষধি ফুল। এই ফুল দ্বারা তৈরি চা পান করলে ব্রণ দূর হয় এবং গায়ের রং ফর্সা হয়।
৪. ক্যামুমাইল অয়েল/সুগন্ধি শেকড়
এর তেল
এই ভেষজ উপাদানটির এন্টিসেপটিক এবং এন্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য ব্রণ সৃষ্টিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
এই ভেষজ উপাদানটির এন্টিসেপটিক এবং এন্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য ব্রণ সৃষ্টিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
৫. ল্যাভেন্ডার অয়েল
ল্যাভেন্ডার অয়েল বা গন্ধসার তেল এন্টিসেপটিক এর ভুমিকা পালন করে। শতকরা ১০ ভাগ পানির সাথে ১ ভাগ ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে তরল করে নিন। মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগের পূর্বে শরীরের অন্য কোন স্থানে লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন। যদি আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে এটা ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
ল্যাভেন্ডার অয়েল বা গন্ধসার তেল এন্টিসেপটিক এর ভুমিকা পালন করে। শতকরা ১০ ভাগ পানির সাথে ১ ভাগ ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে তরল করে নিন। মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগের পূর্বে শরীরের অন্য কোন স্থানে লাগিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন। যদি আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে এটা ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
৬. পুদিনা
পাতার তেল
পুদিনা পাতার মধ্যে মেন্থল উপাদানটি বিদ্যমান যেটা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব এবং ব্রণ দূর করে। শতকরা ১ ভাগ তেল এর সাথে ৫ ভাগ পানি মিশিয়ে তরল মিশ্রণ তৈরি করে নিন এবং সতর্কতা অবলম্বন করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন।
পুদিনা পাতার মধ্যে মেন্থল উপাদানটি বিদ্যমান যেটা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব এবং ব্রণ দূর করে। শতকরা ১ ভাগ তেল এর সাথে ৫ ভাগ পানি মিশিয়ে তরল মিশ্রণ তৈরি করে নিন এবং সতর্কতা অবলম্বন করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন।
৭. চন্দন
কাঠের বাকল বা
ছাল
এই সুগন্ধি ভেষজ উপাদানটি গুঁড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন এবং মুখমণ্ডলে লাগিয়ে রাখুন। এটা আপনার মুখের ব্রণ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার করে তুলবে।
এই সুগন্ধি ভেষজ উপাদানটি গুঁড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন এবং মুখমণ্ডলে লাগিয়ে রাখুন। এটা আপনার মুখের ব্রণ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার করে তুলবে।
অনিয়মিত মাসিকের ঘরোয়া ও ভেষজ চিকিৎসা
অনিয়মিত
মাসিক বা ইরেগুলার মেনস্ট্রুয়েশন
নানা কারণে হতে পারে।
অনেক সময় এটি প্রজননতন্ত্রের
বিভিন্ন জটিলতার পূর্বাভাস দেয়। আবার অনেকের
স্বাভাবিক ভাবেই অনিয়মিত মাসিক
হয়। তবে যাই হোক
না কেন এটি আমাদের
দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে নি:সন্দেহে।
অনিয়মিত মাসিকের চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে
চলে আসছে নানা ভেষজ
পদ্ধতি, যেগুলোর উপকার বৈজ্ঞানিক ভাবেও
প্রমাণিত হয়েছে। যদি আপনার
শরীরে মারাত্মক কোন সমস্যা না
থাকে তাহলে এর থেকে
উপকার পাবার আশা করতেই
পারেন। আসুন আজ এরকমই
কিছু ঘরোয়া ভেষজ পদ্ধতি
দেখে নেই।
• নিয়মিত
কাঁচা পেপে খেলে অনিয়মিত
মাসিকের জন্য অনেক উপকারী।
তবে যারা গর্ভবতী তাদের
কাঁচা পেপে না খাওয়াই
ভাল, এতে গর্ভপাত হতে
পারে।
• বটগাছের
শেকড় ১০ মিনিট গরম
পানিতে ফুটিয়ে ছেকে, সেই
পানিতে ২-৩ টেবিল
চামচ গরুর দুধ মিশিয়ে
প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার আগে
খেতে হবে।
•
মাসিক
নিয়মিত করণে মৌরি খুবই
ভাল একটি পথ্য হিসাবে
কাজ করে।
• আঙুর
ফলও পিরিয়ড রেগুলার করার
জন্য খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন
আঙুরের জুস খেলে বা
খাবারের তালিকায় আঙুর থাকলে ভবিষ্যতে
মাসিক নিয়মিত রাখতে সহায়তা
করে।
• করলার
রসও অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে উপকারী।
• প্রতিদিন
ধনিয়াপাতা বা ধনিয়া গুড়া
দিনে তিনবার করে খেলে
মাসিক নিয়মিতকরণে অনেক ভুমিকা রাখে।
• ২টি
মূলাকে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড
করে এক কাপ মাঠার
সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান
করলে মাসিক নিয়মিত করতে
সাহায্য করে।
• অনিয়মিত
মাসিকের পথ্য হিসাবে ডুমুর
যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত
হয়ে আসছে। ৪-৫টি
ডুমুর ফল কেটে পানিতে
সেদ্ধ করে ছেকে সেই
পানি নিয়মিত খেলে অনেক
উপকার পাওয়া যায়।
• গাজরে
রয়েছে প্রচুর বেটা ক্যরোটিন,
যা মাসিক নিয়মিত করতে
সাহায্য করে।
• এলোভেরা
বা ঘৃতকুমারীর শাস রূপচর্চার পাশাপাশি
মাসিক নিয়মিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে।
• ঋতুচক্র
শুরুর সম্ভাব্য সময়ের এক দুই
সপ্তাহ আগে থেকে আখ
বা গেন্ডারির রস খেলে আশা
করা যায় সময়মতো মাসিক
হবে।
মনে
রাখবেন উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো গর্ভবতী নন এমন মহিলাদের
জন্যই প্রযোজ্য। গর্ভবতী মায়েদের শরীরে এই উপাদানগুলো
বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী করতে পারে।
এজন্য যারা বিবাহিত তাদের
আগে নিশ্চিত হতে হবে যে
তারা গর্ভবতী হয়েছেন কিনা।
একটা
বিষয় মনে রাখা উচিত
শরীরে আয়রনের অভাব থাকলেও
মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। এজন্য
ভেষজ এই পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি
আয়রন বা লৌহ সমৃদ্ধ
খাবার যেমন: গরু, ভেড়া,
মুরগির মাংস; কলিজা, ডিম;
চিংড়ি, টুনা মাছ; পালং
শাক, মিষ্টি আলু, মটরশুটি,
ব্রকোলি, বাধাকপি, ফুলকপি; সুজি, গম, বার্লি;
স্ট্রবেরি, তরমুজ, খেজুর, গাব;
টমেটো, ডাল, ভুট্টা, শস্যদানা
ইত্যাদি প্রচুর পরিমানে খেতে
হবে।
আর
এতেও যদি উপকার না
পান সেক্ষেত্রে কোন গাইনি ডাক্তারের
শরণাপন্য হওয়াই বাঞ্ছনিয়।
চুল পরা বন্ধ করতে ঘরোয়া পদ্ধতি
চুল পরা রোধে
২৪ টি উপদেশ চুল
পরা সমস্যার রয়েছে অনেক কারণ। আধুনিক
চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন হারবাল উপকরণও চুল
পরা রোধে ব্যবহৃত হয়ে
আসছে বহুকাল আগে থেকে। তবে
কিছু উপদেশ সবসময় মেনে
চললে চুল পরা সমস্যা
থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া যাবে। এরকমই
২৪ টি উপদেশ আসুন
একনজরে দেখে নেয়া যাক। - গরম
পানিতে গোসল ত্যাগ করা
উচিত। - প্রচুর
পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। - চুল
ট্রিম করুন। - হেয়ার
ম্যাসাজ করুন। - জেনেটিক,
হরমোন পরিবর্তন বা মা হওয়ার
পর চুল পড়লে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন। ভেজা
চুলে চিরুনি দেবেন না। - গোড়া
শক্ত করে সব সময়
চুল বাঁধবেন না। - চুল
পড়তে থাকলে চুলে তেল
দেয়া বন্ধ করুন।
- আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করুন, সবুজ
এবং হলুদ সবজি ও
ফল বেশি করে খান। - প্রোটিনসমৃদ্ধ
খাবার যেমন ডিমের সাদা
অংশ, ভেড়ার মাংস, সয়াবিন,
পনির, দুধ এবং দই
চুলের জন্য উপকারী।
- চুলে হিট দিলে তা
চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে
পারে। তাই
হিট বন্ধ করুন।
- সূর্যের তাপ পরিহার করুন। - মাথার
চামড়ার ওপর নরম ম্যাসাজ
চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ায়,
যা চুলের জন্য ভালো। - চুল
অতিরিক্ত আঁচড়াবেন না। - চিকন
হওয়ার জন্য অতিরিক্ত ডায়েট
কন্ট্রোল চুলের জন্য ক্ষতিকর। - ধূমপান
চুলের জন্যও ক্ষতিকর।
- ভিটামিন সি, ই এবং
বিটা ক্যারোটিন চুলের জন্য ভালো। - মেডিটেশন
এবং যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়,
যা চুলের জন্যও ভালো। - কুমড়োর
বিচি ফাইটোস্ট্রোজেনের উৎস, যা চুল
পড়া বন্ধ করতে সাহায্য
করে। এক
চা-চামচ করে সপ্তাহে
তিন চামচ বেটে চুলে
দিলে এক্ষেত্রে কার্যকর হবে। - কন্ডিশনার
কেবল ত্বকের ওপর নয়,
চুলের আগা থেকে গোড়া
পর্যন্ত লাগিয়ে ১ থেকে ২
মিনিট রেখে পর্যাপ্ত পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- চিরুনির ফাঁক হওয়া উচিত
বড়। ঘন
দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করা
উচিত নয়। - কালারিং,
সোজাকরণ ইত্যাদি একসঙ্গে করা উচিত নয়। - উচ্চ
ক্যালোরিযুক্ত জাঙ্ক ফুডে চুল
শক্ত হলেও ভঙ্গুর হয়ে
যায়। - চুলকে
কিছু বিশ্রাম দেয়া উচিত।
তাকে হাওয়ায় উড়তে দিন ইচ্ছামতো। এর
থেকে বেশি পদ্ধতি আর
লাগবে না মনে হয়। :
খুশকি সমস্যা
খুশকি সমস্যা
কমবেশি সবারই হয়।
মাথার লোমকূপে ময়লা
জমে এবং ছত্রাকের প্রভাবে খুশকি
হয়। এছাড়া চুল
রুক্ষ হয়ে গেলেও
আর্দ্রতা কমে
খুশকি হয়। তবে
একটু সচেতন হলেই
খুশকির এ সমস্যা
সমাধান সম্ভব।
সাধারণত মাথার পাতলা ত্বক খসে পড়ে চুলে খুশকির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। খুশকি চুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে। চুলের গোড়ায় ত্বকের কোষ আলগা করে চুল পড়তে সহায়তা করে।
সাধারণত মাথার পাতলা ত্বক খসে পড়ে চুলে খুশকির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। খুশকি চুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে। চুলের গোড়ায় ত্বকের কোষ আলগা করে চুল পড়তে সহায়তা করে।
খুশকি ত্বকের
সমস্যা। এটি
যে শুধু মাথার
ত্বকেই হয় তা
নয়। মারাত্মক আকার
ধারণ করলে এটি
শরীরের অন্যান্য অংশের
ত্বকেও দেখা দিতে
পারে। যে সকল
কারণে খুশকি হয়
তা হল -
১। শুষ্ক ত্বকের কারণে খুশকি হয়ে থাকে। শীতে আবহাওয়ায় আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। বাইরের ঠান্ডা বাতাস ও ঘরের তুলনামূলক গরম বাতাসের ফলে তাপমাত্রার যে অসামাঞ্জস্যতা দেখা যায় সে কারণেও খুশকি হয়ে থাকে।
২। চুল যথেষ্ট পরিমাণে না আঁচড়ালেও খুশকি হয়ে থাকে। এর কারণ হচ্ছে মাথার ত্বকের চামড়ার ঝরে যাওয়ার প্রবণতা। চুল কম আঁচড়ালে মৃত চামড়াগুলো ঝরে পড়ে না ও খুশকির সৃষ্টি করে।
৩। যারা ঈস্ট এ এলার্জিক তাদের খুশকির প্রবণতা বেশি। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ও ঈস্ট কাউন্টারএক্ট করে ও খুশকি সৃষ্টি করে।
৪। পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্যাম্পু না করলে মাথার ত্বক অপরিষ্কার হয় যা থেকে খুশকির উৎপত্তি হতে পারে।
৫। খাদ্যাভাসও খুশকির অন্যতম কারণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ও জিংক গ্রহণ না করলে খুশকি হয়ে থাকে। কিছু বিশেষ চর্বি জাতীয় খাদ্য অধিক গ্রহণ করে থাকলেও খুশকি হয়।
৬। ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরণে ফাঙ্গাসের কারণেও খুশকি হয়ে থাকে। এটি সকলের স্ক্যাল্পেই থাকে এবং কোন সমস্যার সৃষ্টি করে না। কিন্তু এটির পরিমাণ বেশি বেড়ে গেলে তা ত্বকের ক্ষরিত তেল শোষণ করে নেয়। যার ফলে স্ক্যাল্প অতিরিক্ত ত্বকীয় কোষ উৎপাদন করে থাকে। এ সকল অতিরিক্ত কোষ মৃত হলে স্ক্যাল্প ও চুলের তেলের সাথে মিশে খুশকির সৃষ্টি করে।
৭। মানসিক চাপও খুশকির একটি কারণ। যারা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকেন তাদের মধ্যে খুশকি প্রবণতা বেশি পরিলক্ষিত হয়।
৮। কিছু বিশেষ রোগ (যেমন- পারকিন্সন ডিসিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি) খুশকি প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া সেন্সিটিভ ত্বক ও ত্বকের কিছু সমস্যা (যেমন – সোরিয়াসিস, একযেমা ইত্যাদি) খুশকি সৃষ্টি করে। ওষুধ, চুল ও ত্বকের নানা দ্রব্যের রিএকশনের ফলেও খুশকি হয়। এছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের খুশকি বেশি হয়ে থাকে।
৯। অনেকসময় পানি থেকেও খুশকি হয়। পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি হলে তা খুশকির কারণ হয়ে ওঠে। ক্লোরিন ত্বক শুষ্ক করে থাকে এর ফলেই খুশকি বৃদ্ধি পায়।
১০। কিছুদিন আগের একটি গবেষণায় পাওয়া যায় যে ১০.৬% মানুষ যাদের এইচ.আই.ভি আছে তাদের খুশকির সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
খুশকি দূর করতে হবে চুলের গোড়া থেকে। খুশকি মুক্ত ঝরঝরে সুন্দর চুলের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি কতগুলো সহজ সমাধান হলোঃ
খুশি প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চুলের যত্ন নেয়া। চিরুনি ও চুল মোছার তোয়ালে আলাদা করে রাখা ভালো। চুল খুশকি মুক্ত রাখতে নিয়মিত চিরুনি, তোয়ালে, বালিশের কভার ও চাদর পরিস্কার রাখা প্রয়োজন। এছাড়া ভেজা অবস্থায় চুল না আঁচড়ানো ভালো।
১। শুষ্ক ত্বকের কারণে খুশকি হয়ে থাকে। শীতে আবহাওয়ায় আর্দ্রতা কম থাকায় ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। বাইরের ঠান্ডা বাতাস ও ঘরের তুলনামূলক গরম বাতাসের ফলে তাপমাত্রার যে অসামাঞ্জস্যতা দেখা যায় সে কারণেও খুশকি হয়ে থাকে।
২। চুল যথেষ্ট পরিমাণে না আঁচড়ালেও খুশকি হয়ে থাকে। এর কারণ হচ্ছে মাথার ত্বকের চামড়ার ঝরে যাওয়ার প্রবণতা। চুল কম আঁচড়ালে মৃত চামড়াগুলো ঝরে পড়ে না ও খুশকির সৃষ্টি করে।
৩। যারা ঈস্ট এ এলার্জিক তাদের খুশকির প্রবণতা বেশি। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ও ঈস্ট কাউন্টারএক্ট করে ও খুশকি সৃষ্টি করে।
৪। পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্যাম্পু না করলে মাথার ত্বক অপরিষ্কার হয় যা থেকে খুশকির উৎপত্তি হতে পারে।
৫। খাদ্যাভাসও খুশকির অন্যতম কারণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ও জিংক গ্রহণ না করলে খুশকি হয়ে থাকে। কিছু বিশেষ চর্বি জাতীয় খাদ্য অধিক গ্রহণ করে থাকলেও খুশকি হয়।
৬। ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরণে ফাঙ্গাসের কারণেও খুশকি হয়ে থাকে। এটি সকলের স্ক্যাল্পেই থাকে এবং কোন সমস্যার সৃষ্টি করে না। কিন্তু এটির পরিমাণ বেশি বেড়ে গেলে তা ত্বকের ক্ষরিত তেল শোষণ করে নেয়। যার ফলে স্ক্যাল্প অতিরিক্ত ত্বকীয় কোষ উৎপাদন করে থাকে। এ সকল অতিরিক্ত কোষ মৃত হলে স্ক্যাল্প ও চুলের তেলের সাথে মিশে খুশকির সৃষ্টি করে।
৭। মানসিক চাপও খুশকির একটি কারণ। যারা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকেন তাদের মধ্যে খুশকি প্রবণতা বেশি পরিলক্ষিত হয়।
৮। কিছু বিশেষ রোগ (যেমন- পারকিন্সন ডিসিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি) খুশকি প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া সেন্সিটিভ ত্বক ও ত্বকের কিছু সমস্যা (যেমন – সোরিয়াসিস, একযেমা ইত্যাদি) খুশকি সৃষ্টি করে। ওষুধ, চুল ও ত্বকের নানা দ্রব্যের রিএকশনের ফলেও খুশকি হয়। এছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের খুশকি বেশি হয়ে থাকে।
৯। অনেকসময় পানি থেকেও খুশকি হয়। পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি হলে তা খুশকির কারণ হয়ে ওঠে। ক্লোরিন ত্বক শুষ্ক করে থাকে এর ফলেই খুশকি বৃদ্ধি পায়।
১০। কিছুদিন আগের একটি গবেষণায় পাওয়া যায় যে ১০.৬% মানুষ যাদের এইচ.আই.ভি আছে তাদের খুশকির সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
খুশকি দূর করতে হবে চুলের গোড়া থেকে। খুশকি মুক্ত ঝরঝরে সুন্দর চুলের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি কতগুলো সহজ সমাধান হলোঃ
খুশি প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চুলের যত্ন নেয়া। চিরুনি ও চুল মোছার তোয়ালে আলাদা করে রাখা ভালো। চুল খুশকি মুক্ত রাখতে নিয়মিত চিরুনি, তোয়ালে, বালিশের কভার ও চাদর পরিস্কার রাখা প্রয়োজন। এছাড়া ভেজা অবস্থায় চুল না আঁচড়ানো ভালো।
* চুলে অন্তত
একদিন নারিকেল তেল
ব্যবহার করুন,
যা চুলকে করে
তুলে খুশকিমুক্ত।
* সপ্তাহে একদিন নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে সামান্য করে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। গরম ভাপে খুশকি মাথার তালু থেকে উঠে আসবে।
পরপর তিন সপ্তাহ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
* লেবুর রস খুশকি রোধে বেশ উপকারী। নারিকেল তেলে লেবুর রস মিশিয়ে বা লেবু টুকরো করে কেটে মাথার তালুতে ঘষে ঘষে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে পরদিন শ্যাম্পু করুন।
* শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিলে খুশকি যেমন কম হবে, তেমনি চুল বেশ ঝকঝকে ও হালকা হবে।
* আয়ুর্বেদীয় মতে, কর্পূর মাথা ঠাণ্ডা করে এবং খুশকি দূর করে। এ ক্ষেত্রে কর্পূর গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে ম্যাসাজ করে একদিন রেখে পরদিন শ্যাম্পু করে ফেলুন। পানির বদলে তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
* পেঁয়াজের রস খুশকি প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। একটি পেঁয়াজ থেঁতো করে রস চুলের গোড়ায় লাগান। সাবধান, চোখে যেন না পড়ে।
* চুল বারবার ব্রাশ বা চিরুনি করে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক গতিময় রাখুন, এতে চুল ভালো থাকবে ও মাথার ত্বকের মরা চামড়া বা খুশকি উঠে আসবে।
* একদিন পরপর মাথায় মানসম্পন্ন খুশকি প্রতিরোধক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, আপনার চুল হয়ে উঠবে আরও সুন্দর।
* আমলকি দুধে ৪/৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখবেন। নরম হলে বেটে পেস্টের মত করে মাথায় বিলি কেটে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগাবেন। অন্তত পক্ষে ১ ঘন্টা রেখে মাথা ধুয়ে ফেলবেন।
আমলকির সাথে কয়েকটা মেন্দিপাতা দিতে পারলে খুব ভাল। এই পদ্ধতিতে চুল খুব ভাল থাকে।
সুন্দর চুলের জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নিন। আর মনে রাখবেন, চুল কখনই ভেজা রাখবেন না। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।
এছাড়া খাদ্যাভাসও চুলের খুশকি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং টাটকা ফল, সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া।
খুশকি দূর করতে অনেকেই ছুটে চলেন নামিদামি পার্লারে। কিন্তু যাদের নিয়মিত পার্লারে যাওয়া সম্ভব হয় না। তারা ঘরে বসে নিজেই নিতে পারেন নিজের চুলের যত্ন।
সেলিনা বিউটি পার্লারের বিউটি কনসালটেন্ট সেলিনা বাংলামেইলের পাঠকদের জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে-
* জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে, আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করলে খুশকি কমে যায়।
* দূর্বা ঘাস ও নিমপাতা বাটা, ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
* তুলসি পাতা বাটার সঙ্গে কর্পুর ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আধঘণ্টা রেখে দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
* কাঁচা আমলকি ছেঁচে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলায় গরম করে অথবা রোদে দুই তিন দিন শুকিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিতে হবে। সপ্তাহে দুদিন সেই তেল মাথায় লাগালে খুশকি চলে যাবে।
* চুলে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় গরম তোয়ালের ভাপ দিতে হবে।
* মেথী বাটা, আমলকির রস, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই, পানিতে পেস্ট করে মাথায় দিয়ে, আধঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে পেস্ট করে চুলে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
* পেয়াঁজের রস মাথার তালুতে দিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* লেবু খুশকি দূর করে। চুল শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে লেবু মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
* হেনা পাউডার, রিঠা পাউডার দিয়ে তৈরি ভেষজ প্যাক ব্যবহার করতে পারেন এতে খুশকি দূর হবে।
এরপরও যদি চুলে খুশকি হয়, তাহলে ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে হারবাল ট্রিটমেন্ট কিংবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এভাবে চুলের যত্ন নিলে শুধু চুলের খুশকি দূর হবে না, সেইসঙ্গে চুল হবে সুস্থ ও সুন্দর।
* সপ্তাহে একদিন নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে সামান্য করে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। গরম ভাপে খুশকি মাথার তালু থেকে উঠে আসবে।
পরপর তিন সপ্তাহ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
* লেবুর রস খুশকি রোধে বেশ উপকারী। নারিকেল তেলে লেবুর রস মিশিয়ে বা লেবু টুকরো করে কেটে মাথার তালুতে ঘষে ঘষে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে পরদিন শ্যাম্পু করুন।
* শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিলে খুশকি যেমন কম হবে, তেমনি চুল বেশ ঝকঝকে ও হালকা হবে।
* আয়ুর্বেদীয় মতে, কর্পূর মাথা ঠাণ্ডা করে এবং খুশকি দূর করে। এ ক্ষেত্রে কর্পূর গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে ম্যাসাজ করে একদিন রেখে পরদিন শ্যাম্পু করে ফেলুন। পানির বদলে তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
* পেঁয়াজের রস খুশকি প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে। একটি পেঁয়াজ থেঁতো করে রস চুলের গোড়ায় লাগান। সাবধান, চোখে যেন না পড়ে।
* চুল বারবার ব্রাশ বা চিরুনি করে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক গতিময় রাখুন, এতে চুল ভালো থাকবে ও মাথার ত্বকের মরা চামড়া বা খুশকি উঠে আসবে।
* একদিন পরপর মাথায় মানসম্পন্ন খুশকি প্রতিরোধক শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, আপনার চুল হয়ে উঠবে আরও সুন্দর।
* আমলকি দুধে ৪/৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখবেন। নরম হলে বেটে পেস্টের মত করে মাথায় বিলি কেটে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগাবেন। অন্তত পক্ষে ১ ঘন্টা রেখে মাথা ধুয়ে ফেলবেন।
আমলকির সাথে কয়েকটা মেন্দিপাতা দিতে পারলে খুব ভাল। এই পদ্ধতিতে চুল খুব ভাল থাকে।
সুন্দর চুলের জন্য নিয়মিত চুলের যত্ন নিন। আর মনে রাখবেন, চুল কখনই ভেজা রাখবেন না। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।
এছাড়া খাদ্যাভাসও চুলের খুশকি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং টাটকা ফল, সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া।
খুশকি দূর করতে অনেকেই ছুটে চলেন নামিদামি পার্লারে। কিন্তু যাদের নিয়মিত পার্লারে যাওয়া সম্ভব হয় না। তারা ঘরে বসে নিজেই নিতে পারেন নিজের চুলের যত্ন।
সেলিনা বিউটি পার্লারের বিউটি কনসালটেন্ট সেলিনা বাংলামেইলের পাঠকদের জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে-
* জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে, আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করলে খুশকি কমে যায়।
* দূর্বা ঘাস ও নিমপাতা বাটা, ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
* তুলসি পাতা বাটার সঙ্গে কর্পুর ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আধঘণ্টা রেখে দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
* কাঁচা আমলকি ছেঁচে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলায় গরম করে অথবা রোদে দুই তিন দিন শুকিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিতে হবে। সপ্তাহে দুদিন সেই তেল মাথায় লাগালে খুশকি চলে যাবে।
* চুলে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় গরম তোয়ালের ভাপ দিতে হবে।
* মেথী বাটা, আমলকির রস, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই, পানিতে পেস্ট করে মাথায় দিয়ে, আধঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে পেস্ট করে চুলে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
* পেয়াঁজের রস মাথার তালুতে দিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
* লেবু খুশকি দূর করে। চুল শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে লেবু মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
* হেনা পাউডার, রিঠা পাউডার দিয়ে তৈরি ভেষজ প্যাক ব্যবহার করতে পারেন এতে খুশকি দূর হবে।
এরপরও যদি চুলে খুশকি হয়, তাহলে ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে হারবাল ট্রিটমেন্ট কিংবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এভাবে চুলের যত্ন নিলে শুধু চুলের খুশকি দূর হবে না, সেইসঙ্গে চুল হবে সুস্থ ও সুন্দর।
স্তন বড় করার উপায়
স্তনের পরিচর্চার প্রথম
ধাপ হল ম্যাসাজ।
১৮ বছরের পর থেকে
রোজ স্তন ম্যাসাজ করলে
শিথিলতা দূর করা যায়। স্নান
করার আগে হালকা করে
তেল মাখবেন। তারপর
সাবান মেখে স্নান করবেন। ঋতু
চলা কালীন স্তন ম্যাসাজ
করবেন না। ম্যাসাজের
পদ্ধতি -
ডান দিকের স্তনে বাঁ হাত রাখুন। হাতের তালুর চাপ দিয়ে ধীরে বুকের উপর দিয়ে কাঁধ পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন।
হাতের তালু দিয়ে বৃত্তাকার গতিতে স্তন দুটি ম্যাসাজ করুন।
দুই স্তনের উপর আলতো হাতে আঙ্গুল জড়ো করে আলতো করে চাপড় মারুন।
স্তনের তলার দিকে হাত দিন। তারপর স্তনের তলা থেকে হাত দুটি গোলাকারে গলার কাছে ঘুরিয়ে তুলে আনুন। এবার কাঁধের দিক থেকে নীচে বাহুর মূল পর্যন্ত পিঠের দিকে নামান। এইভাবে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
মনে রাখবেন সন্তানকে দুধ পান করানো স্তনের পক্ষে উপকারী। কারণ - শিশু যখন দুধ পান করে তখন স্তনের বৃন্ত লম্বা হয়ে যায় এবং শিশু চুষে দুধ বার করার জন্য পেশীতে সংকোচন ও প্রসারণ হয়, ফলে স্তনের ব্যায়াম হয়। এর ফলে স্তন সুগঠিত হয়।
ডান দিকের স্তনে বাঁ হাত রাখুন। হাতের তালুর চাপ দিয়ে ধীরে বুকের উপর দিয়ে কাঁধ পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন।
হাতের তালু দিয়ে বৃত্তাকার গতিতে স্তন দুটি ম্যাসাজ করুন।
দুই স্তনের উপর আলতো হাতে আঙ্গুল জড়ো করে আলতো করে চাপড় মারুন।
স্তনের তলার দিকে হাত দিন। তারপর স্তনের তলা থেকে হাত দুটি গোলাকারে গলার কাছে ঘুরিয়ে তুলে আনুন। এবার কাঁধের দিক থেকে নীচে বাহুর মূল পর্যন্ত পিঠের দিকে নামান। এইভাবে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
মনে রাখবেন সন্তানকে দুধ পান করানো স্তনের পক্ষে উপকারী। কারণ - শিশু যখন দুধ পান করে তখন স্তনের বৃন্ত লম্বা হয়ে যায় এবং শিশু চুষে দুধ বার করার জন্য পেশীতে সংকোচন ও প্রসারণ হয়, ফলে স্তনের ব্যায়াম হয়। এর ফলে স্তন সুগঠিত হয়।
স্তন ছোট হবার কারণ
স্তন শিথিল হওয়ার
কারণ -
খাদ্য গ্রহণের পরিমানের ঠিকমত অভাব।
নারীর ওজন কমে গেলে।
অতিরিক্ত পরিশ্রম।
বেশী শ্রমযুক্ত খেলাধূলা করলে অনেক সময় স্তনের ফ্যাটিটিস্যু কমে যায়।
প্রতিদিন গরম জলে স্নান করলে।
বেশী বয়সে হরমোন জনিত কারণে।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে দীর্ঘকাল স্তন সুগঠিত রাখা যায়।
খাদ্য গ্রহণের পরিমানের ঠিকমত অভাব।
নারীর ওজন কমে গেলে।
অতিরিক্ত পরিশ্রম।
বেশী শ্রমযুক্ত খেলাধূলা করলে অনেক সময় স্তনের ফ্যাটিটিস্যু কমে যায়।
প্রতিদিন গরম জলে স্নান করলে।
বেশী বয়সে হরমোন জনিত কারণে।
নিয়মিত ব্যায়াম করলে দীর্ঘকাল স্তন সুগঠিত রাখা যায়।